ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউ : ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

ছোটবেলায় স্কুলে ক্লাশ করার সময় অনেক স্যার আমাদের স্বপ্ন নিয়ে প্রশ্ন করতেন- বড় হয়ে আমরা কি হতে চাই তা জানতে চাইতেন। তখন সবচেয়ে বেশি যে ২ টি উত্তর আমরা শুনতাম সেগুলো হল ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার। আবার বাসায় কেউ আসলে আমাদের অনেকের বাবা, মা বলতেন ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। বাংলাদেশ এ যে ৫ টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেগুলো হল BUET, RUET, KUET, CUETএবং DUET. এগুলো নিয়ে আমরা কমবেশি সবাই জানি। এগুলা ছাড়াও বাংলাদেশ এ আছে ৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর রিভিউ নিয়ে।

বর্তমানে আমাদের দেশে চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে (সরকারি) । সেগুলো হল-

১. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
২. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
৩. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
৪. সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

অধিভুক্তি

১. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
২. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
৩. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
৪. সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

খরচ

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো সরকারী। তাই খরচ অন্যান্য পাবলিক ভার্সিটির মতই। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ আর সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের খরচ একই সমান। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ আর ময়নসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের খরচ একই সমান।

 সিট সংখ্যাঃ

Sylhet Engineering College (CSE-68 , CE-68)
Mymensingh Engineering College (EEE-60, CE-60 , CSE-60)
Faridpur Engineering College (EEE-60, CE-60 , CSE-60)

সুয়েট ,মুয়েট এবং ফুয়েট প্রসঙ্গ

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী  কলেজগুলোকে ভার্সিটিতে রুপান্তর অর্থাৎ সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যথাক্রমে সিলেট প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুয়েট),ময়মনসিংহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মুয়েট) এবং ফরিদপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ফুয়েট) এ রুপান্তরিত হবে আশা করছি।

 

আজ ১ম পর্বে আমি আলোচনা করব ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নিয়ে

 

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ বিভাগের সেরা প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এটি অন্যান্য সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বি.এস. সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী প্রদান করে।

ইতিহাস
২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার নতুন ৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করার উদ্যোগ নেয়। যার মধ্যে প্রথমে একনেকে MEC এর বিল পাস হয় এবং ২০০৭ এর নির্মান কাজ শেষ হয়। ২০০৯ সালে ৬০ জন স্টুডেন্ট নিয়ে এবং EEE ডিপার্টমেন্ট দিয়ে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের যাত্রা শুরু হয়। আশা করা হচ্ছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি কিছুদিন পর পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নীত হবে এবং নামকরণ করা হবে: ময়মনসিংহ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (MUET )

অবস্থান

ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রাস্তার পাশে রহমতপুর ক্যাম্পাস টি অবস্থিত।

ক্যাম্পাস

৭ একরের উপর নির্মিত কলেজটিতে ৩টি ডিপার্টমেন্ট ভবন ২টি ছেলেদের হল ১টি মেয়েদের হল ১টি লাইব্রেরি ভবন ১টি প্রশাসনিক ভবনসহ ১৩ টি ভবন রয়েছে। মুল ক্যম্পাসের বাহিরে টিচার্স কোয়ার্টার এ আছে ৩ টি ভবন ও ১ টি প্রিন্সিপ্যাল এর ডুপ্লেক্স বাসা। বর্তমান এ এখানে ৩টি ডিপার্টমেন্ট চালু হয়েছে ।

একাডেমিক

এই কলেজের ভর্তি কার্যক্রম ও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি ইউনিট নামে MEC,FEC BEC কে সমন্বয় করেছে। শিক্ষা কার্যক্রম (পরীক্ষা,রেজিস্ট্রেশন,সিলেবাস প্রণয়ন) ঢাবি কতৃক নিয়ন্ত্রন করা হয়।

আবাসন

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং এ তিনটি আবাসিক হল আছে । ছেলেদের জন্য দুটি হল এবং মেয়েদের জন্য একটি হল। হলগুলোর নাম ও ধারণক্ষমতা নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:

১. অমর একুশ হল- ২০০ সিট
২. মুক্তিযোদ্ধা হল – ২০০ সিট
৩. মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি হল – ১৫০ সিট

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার একাডেমিক ভবন এর কাছেই। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অনলাইন সুবিধা রয়েছে। এই আধুনিক গ্রন্থাগারে বিপুল পরিমাণ বই এর কালেকশন রয়েছে । ৫ তলাবিশিষ্ট লাইব্রেরী ভবনে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সভূক্ত শত শত দেশী-বিদেশী বই সম্বলিত ১টি স্টাডি রুম , ১টি সেমিনার রুম , এছাড়াও লাইব্রেরী ভবনে অনলাইনে পড়াশুনা করার সুবিধা আছে। প্রতিটি কক্ষে ৮০ জন এর বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা এখান হতে তাদের প্রয়োজনীয় বই বই ধার নিতে পারে।

অডিটোরিয়াম হল

কলেজের প্রায় ৫০০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে সম্মেলন, সেমিনার এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচী এর অয়োজন করা হয়।

বিভাগ

বর্তমানে ৩টি বিভাগ রয়েছে এবং প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করছে।

১. ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং – ৬০ সিট
২. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ -৬০ সিট
৩. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল -৬০সিট

ল্যাব সুবিধা

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ল্যাবের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি আছে যা আধুনিক এবং আপডেট । এখানে শিক্ষার্থী নিম্নোক্ত ল্যাবের সুবিধা পাচ্ছে: –

ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (ইইই)

ইলেকট্রনিক্স ল্যাব
বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব
বৈদ্যুতিক মেশিন ল্যাব
পাওয়ার সিস্টেম এবং উচ্চ ভোল্টেজ ল্যাব
ডিজিটাল সিংনাল প্রসেসিং ল্যাব
কাঠামোগত মেশিন ল্যাব

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিই)

Machine Shop
Welding Shop
Surveying Shop
Foundry Shop
Transportation Lab
Drawing Laboratory
Hydraulics Lab
Wood Shop
Environment Lab
Image Processing Lab
Geo Technical Lab

কম্পিউটার এবং বিজ্ঞান প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই)

নেটওয়ার্কিং ল্যাব
যোগাযোগ এবং মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব
কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টার ল্যাব
কম্পিউটার ল্যাব
মাইক্রোপ্রসেসার ল্যাব
সফটওয়্যার ল্যাব

বৃত্তির সুযোগ

প্রতিটি সেমিস্টারের সরকার সিজিপিএ ভিত্তিতে (প্রতি ব্যাচ বা বিভাগে 50% ছাত্র) ছাত্রদের জন্য 1950 টাকা প্রদান করা হয় । মেয়েদের জন্য কোটাও পাওয়া যায়। একটি নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে, এখানের ছাত্ররা টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোরিয়া, ইউনিভার্সিটি এক্স-মার্সেই পূর্ণ বৃত্তির সাথে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে।
EEE DAY-2K17 বুয়েটে পোস্টার প্রেজেন্টেশনে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের টিম Alpha বুয়েটের টিম Renewable এর সাথে যৌথভাবে সেকেন্ড রানার্সাপ হয়েছে।

কৃতিত্ব

বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা বৃত্তি পেয়ে থাকে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব রয়েছে যার নাম আ.এস.এল (আলফা বিজ্ঞান ল্যাব), একটি বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক ক্লাব রয়েছে । এটি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কার আছে। এই ক্যাম্পাস থেকে আসা শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে খুব ভাল করছে।

খেলাধুলা

কলেজটিতে রয়েছে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস খেলার সুবিধা। শিক্ষার্থীরা টেনিস, ব্যাডমিন্টন এবং অন্যান্য গেম ও খেলে থাকে। ক্রীড়া এবং গেম প্রতিযোগিতাগুলি ক্যাম্পাস জীবনের বৈশিষ্ট্য। এখানে প্রতি বছর ক্রিকেট এবং ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, টেবিল টেনিস, দাবা ইত্যাদির মতো ইন্ডোর প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তি প্রক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেকনোলজি ইউনিটে ৩ টি প্রকৌশল কলেজ এবং ২ টি বেসরকারি ইন্সটিটিউশন (নিটার এবং এসটিইসি) রয়েছে।

আবেদন করার যোগ্যতা

১.বাংলাদেশী নাগরিকরা আবেদন করতে পারে।
২. এসএসসি (বিজ্ঞান) বা সমমানের এবং এইচ.এস.সি (বিজ্ঞান) বা মোট GPA 6.0 সমমান পেতে হবে।

ফলাফল

১ । মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে অর্জিত মেধাস্কোর অনুসারে মেধা তালিকা করা হবে যেখানে SSC পরীক্ষার প্রাপ্ত জি পি এ (৪র্থ বিষয় সহ) এর ৬ গুন ও HSC এর 8 গুন । এইচ,এস,সি এবং এস,এস,সি রেজাল্ট থেকে আসবে ৮০ নাম্বার। সর্বমোট ২০০ নাম্বারের উপর মেধাক্রম তৈরি করা হবে।
২ । ৪৮ এর কম পেলে মেধাস্কোর করা হয় না ।
৩ । ফলাফল এস এম এস ও ঢাবি ওয়েবসাইটে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয় ।

সার্টিফিকেট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পিউর বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়

এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এর মান কেমন??

এটার মান নিয়ে প্রশ্ন করলে স্পেসিফিক ভাবে কিছু ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে হবে, কয়েকটি ব্যাপারে মান নিয়ে উত্তর দেয়া যেতে পারে…
হল ফ্যাসেলিটিস কেমন?
-যথেষ্ট ভালো
ল্যাব ফ্যাসেলিটিস কেমন?
-ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ল্যাবে যা আছে এখানের ৩ টি ডিপার্টমেন্ট এ ঠিক সেসব ই আছে ,  এখানে সিএসই ডিপার্টমেন্ট এ ৪৫০+ কম্পিউটার ই আছে।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর অনেক সিনিয়র দেশের বাহিরে ভালো ভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়েছে। আজকের রুয়েট-চুয়েট-কুয়েট-ডুয়েট সব ই কলেজ থেকে ভার্সিটিতে পরিণত হয়েছে।যদিও এখন দেশে অনেক অপশন আছে, তাই পুরোটা ডিপেন্ড করে স্টুডেন্টের উপর। আজ এ পর্যন্তই।

২য় পর্বে আমি ফরিদপুর  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের রিভিউ দিব eGalTube-এর ওয়েবসাইটে। সেজন্য eGalTube-এর সাথেই থাকুন। আর এই লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সবার সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন! সেই সঙ্গে আপনার সুচিন্তিত মতামতও প্রত্যাশা করছি, লেখাটি কেমন হলো কিংবা কোনো ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতির কথাও জানাতে পারেন নিচের কমেন্ট বক্সে।

রেফারেন্স 

১. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9_%E0%A6%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%82_%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C

২. http://www.mec.ac.bd/

৩. https://campuslive24.com/old-site/111476/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9-%E0%A6%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%BE

Sabbir Hasan Monir

I am a student of Civil Engineering. I have a proactive attitude and find positive ways to simulate and engage with people.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *