জার্মানিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ব্যাচেলর কোর্স

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়েই কেন পড়বো? আর যদি পড়িই তাহলে জার্মানিতেই কেন? এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই আলোচনা।

কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামে অনুশীলনের ক্ষেত্রে ভিত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার। মানব-কম্পিউটার ইন্টারফেস এবং তথ্যপ্রযুক্তির মতো আধুনিক সব গবেষণামূলক বিষয়!

জার্মানিতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক দিককে বেশি জোর দিয়ে থাকে।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জিডিপির সাথে জার্মানি গবেষণা এবং প্রবৃদ্ধির জন্য বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকৌশলখাতে প্রায় ২.৮% ব্যয় করে।

বেশিরভাগ জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও টিউশন ফি নেই। তাই অন্য সমসাময়িক দেশগুলির তুলনায় জার্মানিতে পড়াশোনার ব্যয় অনেকটাই কম!

চাকরির সুযোগ :

১. সফ্টওয়্যার প্রকৌশল
২. সিস্টেমস প্রোগ্রামিং
৩. ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
৪. কম্পিউটার প্রোগ্রামিং

জার্মানিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের গড়-বেতন বছরে প্রায় ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার ইউরো হয়ে থাকে।

যেহেতু জার্মানির প্রধান ভাষা জার্মান বা ডয়েচ তাই আপনি যদি ডয়েচ ভাষায় পড়তে চান সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জার্মান বি১ (B1) ধাপ পর্যন্ত জানতে হবে। তবে ইংলিশ মিডিয়ামেও কিছু কিছু ইউনিভার্সিটিতে পড়া যায়।

এখন আসি মূল কথায়, জার্মানিতে স্কুলিং ১৩ বছরের কিন্তু বাংলাদেশে এইচএসসিকে ১২ বছর তুলনা করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে এইচএসসির পরে বাংলাদেশে একবছর বা ২৫% ক্রেডিট ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন করতে হবে!

ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই। ডিপ্লোমাকে এইচএসসির সমমান ধরে। তাই আপনাকে বাংলাদেশে একবছর ইউনিভার্সিটিতে পড়তে হবে।

ইংলিশ মিডিয়ামে কম্পিউটার সায়েন্স পড়া যায় এমন কিছু লিস্ট নিচে দেয়া হলো :

১. Ulm University of Applied Science

বিষয়ের নাম : Computer Science

নোট : এই ভার্সিটি হচ্ছে (Baden-Württemberg) রাজ্যে এবং ২০১৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী ওই রাজ্যের প্রত্যেকটি ইউনিভার্সিটিতে
(নন-ইউ) ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের প্রত্যেক সেমিস্টার ১৫০০ ইউরো ফি দিতে হয় অর্থাৎ ৩০০০ ইউরো প্রত্যেক বছর।

আরও বিস্তারিত জানতে (DAAD) ডাড অথবা ভার্সিটির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৩. Hamburg University of Technology

বিষয়ের নাম : Engineering Science

নোট : এখানে প্রথম ৪ সেমিস্টার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলো শিখানো হবে। তারপরের ৩ সেমিস্টার আপনাকে (Specialization-মেজর) করতে হবে এবং তখন আপনি (Electrical, Mechanical, Mechatronics and Computer Science) এগুলার মধ্যে যে-কোনো একটা অর্থাৎ কম্পিউটার সায়েন্সও পছন্দ করতে পারবেন। তবে আরেকটি সমস্যা আছে। সেটি হলো এই সাবজেক্টের রিকোয়্যারমেন্টে গেলেই দেখতে পাবেন জার্মান ভাষায় B2 সার্টিফিকেট দরকার। কিন্তু ২০২১-এর উইন্টার সেমিস্টার থেকে এই সাবজেক্টটি সম্পর্ণ ইংলিশে অফার করার প্ল্যান করছে ইউনিভার্সিটি, যদিও এখনও ১০০% নিশ্চিত না। বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।

৩. Technical University of Munich

বিষয়ের নাম : Management and Technology

নোট : এখানে প্রথম ৪ সেমিস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট
পড়ানো হবে। তারপরের ২ সেমিস্টার আপনাকে (Specialization-মেজর) করতে হবে এবং তখন আপনি (Computer Engineering) করতে পারবেন।
IELTS প্রয়োজন সর্বনিম্ন ৬.৫। বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৪. Hamburg University of Applied Science (HAW)

বিষয়ের নাম : Information Engineering
নোট : এই কোর্সটি একটি রেস্ট্রিকটেড কোর্স, তাই এখানে আসনসংখ্যা সীমিত। এখানে উচ্চমাধ্যমিক এবং এক বছর ব্যাচেলর্স-এ ফলাফল খুব ভালো না হলে সুযোগ পাওয়া কঠিন। IELTS প্রয়োজন সর্বনিম্ন ৬.০। বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৫. TH Köln (University of Applied Sciences)
বিষয়ের নাম : Digital Games
নোট : নতুন একটি সাবজেক্ট গেম তৈরি অথবা ডেভেলপমেন্ট নিয়ে
কাজ করার ইচ্ছা থাকলে যেতে পারেন। বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৬. Rhine-Waal University of Applied Science
বিষয়ের নাম : Information and Communication Engineering. IELTS প্রয়োজন সর্বনিম্ন : B2=(5.5/6.5)। বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৭. Technische Hochschule Ingolstadt
বিষয়ের নাম : Autonomous Vehicles Engineering
নোট : নতুন একটি সাবজেক্ট কোর্স মডিউল অনেকটাই কম্পিউটার সায়েন্সের মতোই। বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৮. Deggendorf Institute of Technology
বিষয়ের নাম : Health Informatics
নোট : কোর্স মডিউল অনেক টাই কম্পিউটার সাইন্স এর মতোই।
IELTS প্রয়োজন সর্বনিম্ন : 5.5
আরো বিস্তারিত জানতে ডাড অথবা তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আজকে এই পর্যন্তই, অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কিত আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে শিগ্রই আসবে পার্ট-২! আর হ্যাঁ, এই সাবজেক্টগুলোর মধ্যে যদি একটিতেও সুযোগ পেয়ে থাকেন (eGal) টিম এ জন্য কিন্তু অবশ্যই মিষ্টি পাঠাটাতে ভুল করবেন না।

One thought on “জার্মানিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ব্যাচেলর কোর্স

  • 16/12/2020 at 2:14 PM
    Permalink

    Helpful for bachelor applicants❤

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *