যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা

যুক্তরাজ্য বা United Kingdom, বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অ্যাটলান্টিক মহাসাগর সহ উত্তর সাগর, ইংলিশ চ্যানেল এবং আইরিশ সাগরের নীল জলরাশি দ্বারা বেষ্টিত ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র। সমগ্র যুক্তরাজ্যকে ব্রিটেন নামেও ডাকা হয়। দেশটি ৪টি সাংবিধানিক রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর  আয়ারল্যান্ড মিলে গঠিত সমগ্র যুক্তরাজ্যকে ব্রিটেন নামেও ডাকা হয়। তবে গ্রেট ব্রিটেন বলতে সমগ্র দেশটিকে বোঝানো হয় না, এটি ব্রিটেনের সর্ব বৃহৎ দ্বীপের নাম। আবার ইংল্যান্ড নামটি দিয়েও সমগ্র ব্রিটেনকে বোঝানো হয় না।

ভৌগোলিক আকারের দিক থেকে যুক্তরাজ্য একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে এখানকার জলবায়ু মৃদু ও আর্দ্র। আর অনেক উত্তরে অবস্থিত হওয়ায় এখানের শীতলতাও অনেক বেশি। দেশটিতে বছরের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং অসম্ভব সুন্দর বৃষ্টিস্নাত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ কারণে ব্রিটেনকে সদা তৃণময় সবুজ একটি দেশও বলা হয়ে থাকে।

ব্রিটেন একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র এবং দেশটির রাষ্ট্র প্রধান হলেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। যদিও যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। ব্রিটেন একসময় বিশ্বের প্রধান ও অগ্রগামী অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিল। ১৮শ শতকের শেষে ও ১৯শ শতকের শুরুতে ব্রিটেনেই বিশ্বের সর্বপ্রথম শিল্প বিপ্লব ঘটে এবং এরই সূত্র ধরে এখানে এমন একটি সমাজ ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রাধান্য ছিল অনেক বেশি। ব্রিটেনই ছিল বিশ্বের প্রথম নগরায়িত রাষ্ট্র, যেখানে অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক শহরে বাস করতেন। দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের সুবাদে ১৯শ শতকে রাণী ভিক্টোরিয়ার আমলে ব্রিটেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশে পরিণত হয়।

চলুন আজ জেনে নেই, শিক্ষার মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তীর্থভূমি; ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্যাদি।

 

 

কেনো যুক্তরাজ্য?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় স্থান, যুক্তরাজ্য। বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে পাড়ি জমান উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। এখানে ১০৫টি স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ২০টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ রয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ লাইব্রেরিকে বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত লাইব্রেরি হিসেবে গণ্য করা হয়। তাছাড়া যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গবেষক তৈরির কারখানাও বলা হয়ে থাকে এখানের অগণিত বৈজ্ঞানিকের গবেষণায় অবদানের জন্য। আবার পড়াশোনা পরবর্তি উচ্চ বেতন দানকারী দেশ হওয়ায়, এখানে উচ্চশিক্ষার প্রধান গন্তব্য হিসেবেও অনেকে বিবেচনা করে থাকেন।

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার খরচ কেমন?

যুক্তরাজ্যে দুটি মানদণ্ডে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। একটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং অন্যটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে সাধারণত যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি  ৭,৫০০ পাউন্ড থেকে ৩৭,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে মোটা বেতনে খন্ডকালীন চাকরি এবং প্রচুর পরিমাণে বৃত্তির সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচাদি অনেকাংশেই কমে আসে।

যুক্তরাজ্যে জীবনযাপন ব্যয় কেমন?

যুক্তরাজ্যে সাধারণত শহরভেদে জীবনযাপন ব্যয় একেক রকমের হয়ে থাকে। তবে যদি গড় হিসাব কষা হয়, তবে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রতিমাসে জীবনযাপন বাবদ ৮০০ পাউন্ড থেকে ১০০০ পাউন্ড পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলি?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবেদন করা যায় কিভাবে?

আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি এবং ভিসা প্রাপ্তির জন্য কোন কোন কাগজাদির প্রয়োজন?

  • SSC Certificate
  • SSC Mark Sheet
  • HSC Certificate
  • HSC Mark Sheet
  • Undergraduate Certificate (স্নাতকোত্তরের জন্য)
  • Undergraduate Mark Sheet (স্নাতকোত্তরের জন্য)
  • Thesis or Project Report (স্নাতকোত্তরের জন্য)
  • 2 Recommendation Letter
  • IELTS (একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকমের নুন্যতম যোগ্যতা দিয়ে রাখে, তবে কমপক্ষে ৫.৫ লাগে)
  • ব্যাংকে নুন্যতম ১৩ লক্ষ টাকার প্রমাণ পত্র
  • জীবন বীমা
  • Offer Letter (ভিসার জন্য)

 

তাছাড়া আপনি উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আরও পড়তে পারেন –

বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখা –

ভ্রমণ ভিত্তিক লেখা – 

 

Reference –

  • Wikipedia.org. (2014). Wikipedia. [online] Available at: https://www.wikipedia.org.

 

জাওয়াদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *