স্বপ্ন যখন আমেরিকায়…

American Dreams! শব্দ দুটি ভাবতেই কত কি না ভেসে ওঠে দুচোখের ওই চিলেকোঠায়! কেউ বা পাল তোলে হাডসনের তীরে ভিড়তে, কেউবা স্বপ্ন বুনে মিসিসিপির অধ্যায়ে নিজের ছোট্ট অবস্থানকে নিশ্চিত করতে কিংবা কেউ আশায় বুক বাধে টেনেসীর ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। কে আছে যে স্বপ্ন দেখেনা আমেরিকায় পাড়ি জমাতে? আদৌ কি কেউ আছেন? যে চায় না নিউ ইয়র্কের হাজারো সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ কনক্রিটের ওই বিশ্ব সভ্যতায় হারিয়ে যেতে? কে চায় না হাওয়াই রাজ্যের ঢেউ খেলানো পাহাড়ের ঢালে পড়ন্ত বিকেলের সমুদ্র বিলাসে যেতে? কে চায় না গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের অপার সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে? আলাস্কার হিমশীতল পাহাড়ে হাইকিং এ যেতে? ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট কোস্টের প্যাসিফিক রিমে নিজেকে ভাসিয়ে নিতে? এই অপার সৌন্দর্যে হারিয়েই হয়ত ফিলিপ্স মিশেলে এবং ফিলিপ্স জন গেয়েছেন অন্যতম বিখ্যাত একটি গান, ‘ক্যালিফোর্নিয়া ড্রিমিং’…

আবার যদি ইতিহাসের কথাতে আসি, তবে ধারণা করা হয়ে থাকে, চতুর্দশ শতাব্দীতে কলম্বাসের হাতে আবিষ্কার হওয়ার অনেক আগেই হয়ত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাইকিংসরা আমেরিকাকে আবিষ্কার করেছেন। যদিও এ বিষয়ে মার্কিনিদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। তবে ১৫০৭ সালে জার্মান কার্টোগ্রাফার মার্টিন ভাল্ডসেমুলারের আঁকা বিশ্ব মানচিত্রেই যে প্রথম আমেরিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে।

৫০টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত আজকের এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭৮৩ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং নতুন বেশ কিছু রাজ্য যুক্ত হয়ে বর্তমানে দেশটির আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারে দাড়িয়েছে। আয়তনের বিচারে বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম দেশ হলেও, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি দেবার স্বপ্ন বুনেনা, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কেনোনা এখানের উন্নত জীবনযাপন, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশ্বের সব থেকে ধনী সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ কি নেই এখানে? তাই চলুন আজ জেনে আসি, জর্জ ওয়াশিংটনের দেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে খুঁটিনাটি কিছু তথ্যাদি…

আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলি?

আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নোবেল জয়ীদের আঁতুড় ঘর বলা হয়ে থাকে। বলা চলে প্রায় প্রতি বছরই সেখান থেকে কেউ না কেউ নোবেল পুরষ্কার পেয়ে থাকেন। মার্কিন মুল্লুকের সব থেকে প্রসিদ্ধ সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হলো –

  1. Princeton University, Princeton, NJ
  2. Harvard University, Cambridge, MA
  3. Columbia University, New York, NY
  4. Massachusetts Institute of Technology – MIT, Cambridge, MA
  5. Yale University, New Haven, CT
  6. Stanford University, Stanford, CA
  7. University of Chicago, Chicago, IL
  8. University of Pennsylvania, Philadelphia, PA
  9. Caltech Institute of Technology – CalTech, Pasadena, CA
  10. Johns Hopkins University, Baltimore, MD

তাছাড়া, মার্কিন মুল্লুকের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা পেতে এখানে ক্লিক করুন

আইভি লীগে (Ivy League) এ কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আছে?

আইভি লীগ (Ivy League) কি?

আইভি লীগ হলো যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত দলগোষ্টি। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নিজেদের একটি সমন্বিত যাচাই ব্যবস্থা অনুসরণ করে থাকে। এই সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্টিকে অনেকে প্রাচীন আট কিংবা Ancient Eight নামেও চিনে থাকেন। কেনোনা আইভি লীগের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে পড়ে থাকে।

স্নাতক পর্যায়ে যেতে চাইলে কি করতে হবে?

দেশে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরই সাধারণত স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় আবেদন করা যায়। এজন্য উচ্চমাধ্যমিকের সময়কাল থেকেই শুরু করতে হবে প্রস্তুতি নেওয়া। ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি বৃদ্ধি করতে হবে কম্পিউটার পরিচালন দক্ষতা। তবে মনে রাখতে হবে, ফলাফল খারাপ হলে স্বপ্নের পথটা বেশ ভঙ্গুর হয়ে যাবে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোন পরীক্ষায়ই খারাপ করলে চলবে না। প্রতিযোগিতার দৌড়ে টিকে থাকতে চাইলে ভাল ফলাফলের জুড়ি নেয়। তাছাড়া বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই গুরুতারোপ করতে হবে অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বা Extra Curricular Activity কে অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করে থাকে। তাদের মতে, একজন মানুষের স্বভাবগত বৈচিত্র্যটা আসলে ফুটে ওঠে এই অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম কিংবা ECA থেকে। আবার দ্রুততম সময়ে GRE অথবা GMAT এর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সাথে ভাষাগত দক্ষতার প্রস্তুতি গ্রহণ করা লাগবে।

GRE/GMAT এর দক্ষতা এবং Extra Curricular Activities (ECAs) বা অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমগুলি সম্পর্কে লেখার শেষে আলোচনা করা হয়েছে।

স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যেতে চাইলে কি করতে হবে?

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবেদন করে থাকে। এজন্য দেশে স্নাতক কিংবা ব্যাচেলর্স শেষ হওয়ার পর সাধারণত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভাল প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল এবং অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি গবেষণামূলক কার্যক্রমকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এজন্য স্নাতক পড়াকালীন সময়ে ভাল ফলাফলের সাথে গবেষণা প্রকাশনার কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভাষাগত দক্ষতাকেও অনেক বেশি পরিমাণে প্রাধান্য দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, তাই স্নাতক চলাকালীন সময় থেকে ধিরে ধিরে ভাষা উপর দখল নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।

তবে একটা জিনিস যেটা প্রয়োজনীয় তালিকায় নেই, কিন্তু অনেক বেশি দরকারি, তাহল কর্ম অভিজ্ঞতা। আপনি যা নিয়ে পড়ছেন, সেই বিষয়ের উপর খন্ডকালীন হোক কিংবা পূর্ণকালীন চাকরি, এই অভিজ্ঞতা অনেক বেশি উপকারে আসে ভর্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে। আপনি তাত্ত্বিক শিক্ষা পেলে তাত্তিকতায়, প্রকৌশলী হলে প্রকৌশল বিষয়ে, ডাক্তার কিংবা নার্স হলে হাসপাতালে, আইনবিদ হলে আইন বিষয়ে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হলে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সহ যার যেখানে থিতু হওয়ার যায়গা, সেখানের কর্ম অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসে। তবে, আপনি ডাক্তার হয়ে কোম্পানিতে চাকরি করলে কিংবা প্রকৌশলী হয়ে ব্যাংকে চাকরি করলে তা কত কতটুকু সুফল দিবে ইমিগ্রেশনে, তা ভাববার বিষয়।

জিম্যাট (GMAT) নাকি জিআরই (GRE)? কার জন্য কোনটি?

যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে চাইলে কোনটি করব? কোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিব? এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে না, এমন সংখ্যা নেহাতই কম! সেই সংশয় দূর করতে হলে আগে জেনে নেওয়া যাক জিআরই(GRE) কি এবং জিম্যাট(GMAT) কি?

জিআরই (GRE) হলো, Graduate Record Examination; যা সাধারণত যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে কিংবা করতে আগ্রহী অথবা, যারা প্রকৌশল বিদ্যা নিয়ে পড়ে কিংবা পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে চাইলে GRE পরীক্ষা দেওয়াটা আবশ্যক। GRE এর পরীক্ষা সাধারণত দেশে থেকেই দিতে হয়। সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন ভাগে GRE এর পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। সেখান থেকে মোট নম্বরের উপর ভিত্তি করে GRE এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। GRE এর ভাগগুলি হলো-

GRE Exam PatternComputer BasedComputer BasedComputer BasedPaper BasedPaper BasedPaper Based
GRE SectionsDurationNo. of SectionsNo. of QuestionsDurationNo. of SectionsNo. of Questions
Verbal Reasoning30 minutes22035 minutes225
Quantitative Reasoning35 minutes22040 minutes225
Analytical Writing60 minutes1230 minutes22
ResearchVaries1VariesNANANA
UnscoredVaries1VariesNANANA
Total3 hours 45 Minutes7823 hours 30 minutes6102
© eGal Authority – Jowad Md Madha

জিম্যাট (GMAT) হলো, Graduate Management Admission Test; যা সাধারণত ব্যবসায় শিক্ষা কিংবা ব্যবস্থাপনা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা যেতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করা লাগে। সাধারণত দেশে বসেই এই পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং এই পরীক্ষা মোট ৪টি ভাগে বিভক্ত। ৪টি ভাগ হলো-

Test SectionTime LimitNumber of QuestionsQuestion TypesScore Range
Analytical Writing Assessment30 Minutes1 QuestionAnalysis of an Argument0-6 
(in 0.5-point increments)
Integrated Reasoning30 Minutes12 QuestionsGraphics Interpretation, Table Analysis, Multi-source Reasoning, Two-part Analysis1-8
(in 1-point increments)
Quantitative Reasoning62 Minutes31 QuestionsData Sufficiency, Problem Solving6-51
(in 1-point increments)
Verbal Reasoning65 Minutes36 QuestionsReading Comprehension, Critical Reasoning, Sentence Correction6-51
(in 1-point increments)
© eGal Authority – Jowad Md Madha

ভাষার জন্য IELTS দিব? নাকি TOEFL দিব?

সাধারণত ভাষাগত দক্ষতা প্রমাণের জন্য আমাদের কোনো না কোনো পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে। এখন সেক্ষেত্রে IELTS এবং TOEFL হলো বিশ্ব সমাদৃত। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার আবেদনের জন্য দুইটিই গ্রহণযোগ্য। তবে TOEFL পরীক্ষা সাধারণত নির্বাচকদের চোখে আলাদা জায়গা করে নেয়।

International English Language System বা IELTS পরীক্ষা দিলে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি যেনো Band 6.5 এর কম না হয়। আবার Test of English as a Foreign Language বা TOEFL পরীক্ষা দিলেও খেয়াল রাখতে হবে সেখানে যেনো Score 80 এর কম যেনো না হয়।

তাহলে আমার কি কি কাগজ প্রয়োজন?

  • Curriculum Vitae (CV) কিংবা Resume
  • Statement of Purpose (SOP) কিংবা Letter of Motivation
  • Graduate Record Examination (GRE) অথবা, Graduate Management Admission Test (GMAT)
  • Scholastic Assessment Test (SAT) – (for Bachelors)
  • Higher School Certificate (HSC) Transcript এবং Marksheet
  • Secondary School Certificate (SSC) Transcript এবং Marksheet
  • IELTS অথবা TOEFL Certificate
  • 2 Recommendation Letter
  • Bank Solvency Documents
  • Passport
  • Essential Proof of Identification
  • Health Certificate

যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ

সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিমেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকান সরকার প্রতি বছর ফুল ব্রাইট ফেলোশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফিস সহ, জীবনযাপন ব্যয় এবং অন্যান্য যাবতীয় জিনিসপত্রের খরচাদি সেই ফেলোশিপের মাধ্যমে আমেরিকান সরকার বহন করে থাকে। শুধু তাই নয়! ক্ষেত্রে বিশেষে অতি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিমান ভাড়াও প্রদান করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এজন্য এই বৃত্তি পুরো বিশ্বে এতো বেশি পরিচিত!

প্রতিবছর প্রায় কয়েক লাখ শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করে থাকে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পেয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমায় উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে।

আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপের জন্য কি কি প্রয়োজন?

মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ অত্যন্ত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে সুযোগ করে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। সেখানে গর্বের সাথে সুযোগ লাভের জন্য যা যা প্রয়োজন –

  • অত্যন্ত ভাল প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল
  • GRE অথবা GMAT অথবা SAT এ অনেক ভাল ফলাফল
  • IELTS হলে কমপক্ষে Band 7.0 এবং TOEFL (iBased) হলে কমপক্ষে Score 90
  • গবেষণা পত্র (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য)
  • চাকরির অভিজ্ঞতা সনদ (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য)
  • Recommendation Letter দুইটি ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষক হতে
    • শিক্ষককে আবেদন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে জমা দিতে হবে
  • উচ্চমাধ্যমিক সনদ এবং নম্বর পত্র
  • মাধ্যমিক সনদ এবং নম্বর পত্র
  • অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের প্রমাণপত্র
  • Statement of Purpose – SOP পত্র
  • পাসপোর্ট

আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

কোন কোন প্রোগ্রামে আবেদন করা যায় ফুল ব্রাইটের জন্য?

  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
  • জীব বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান
  • সমাজবিজ্ঞান
  • মানবিক
  • ব্যবসায়
  • অর্থনীতি
  • জননীতি
  • পরিবেশগত বিজ্ঞান
  • প্রকৌশল
  • নগর পরিকল্পনা
  • চারুকলা
  • মনোবিজ্ঞান
  • নিরাপত্তা বিষয়ক অধ্যয়ন

আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ECAs বা অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম

অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বা Extra Curricular Activity হলো একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রীর লেখা পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য দিকে দক্ষতার প্রমাণ। ছোট বেলা থেকেই অনেক ধরণের ECAs এর সাথে আমরা পরিচিত হয়। সেগুলিতে যদি আমরা বড় হবার পরেও অনেক বেশি সংযুক্ত থাকি এবং আমাদের সেসব যোগ্যতার সঠিক প্রকাশ করতে পারি, তাহলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি আবেদনে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। সেরকম কিছু অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বা ECAs হলো-

  1. বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং সেখানে বিজয়ী হওয়া
  2. বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা
  3. গবেষণামূলক কাজ করা
  4. স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা
  5. বিভিন্ন ধরণের অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করা এবং বিজয়ী হওয়া
  6. সমস্যা সমাধান মূলক কাজে যুক্ত হওয়া
  7. নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড় করানোর চেষ্টা করা
  8. অনেক বড় বড় জায়গায় মেম্বারশিপ নেওয়া
  9. বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা
  10. একাধিক জায়গায় লেখা লেখি করা
  11. বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান করাসহ ইত্যাদি

আমরা যদি এরকম অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের মধ্যে অনেক বেশি করে যুক্ত থাকতে পারি, আমাদের নিজেদের প্রোফাইল অনেকাংশেই অনেক বেশি শক্ত হবে এবং যেকোনো জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে।

উল্লেখ্য

আমাদের মধ্যে অনেকেই একটা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন এবং সেটাই সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেন। অনেকেই ভাবেন, নিজ দেশের ফলাফলের কোনো মূল্য নেই। খারাপ হলেও হয়ত সমস্যা হবে না, বিদেশ পাড়ি জমাবেন IELTS এর উপর ভর করে। যেটা নিতান্তই ভুল ধারণা। যে ফলাফলে আপনার দেশেই কোনো দাম নেই, সেখানে অচিন কোনো সংস্কৃতি কিংবা দেশ কিভাবে আপনাকে মূল্য দিবে?

তাই সময় থাকতেই অধ্যবসায় করুন। পড়াশোনা করুন এবং ভাল ফলাফলের জন্য চেষ্টা করতে থাকুন। নিজেকে গুছিয়ে নিন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকুন।

আর মনে রাখবেন সবসময়, GRADES MATTER MOST!

আশা করি ভাল লেগেছে আজকের লেখাটি। তাই সবার সাথে শেয়ার করে এবং নিচে আপনার মন্তব্য জানিয়ে পাশে থাকার জন্য অনুগ্রহ করে শেষ করছি। ধন্যবাদ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *