কেন ব্যবহার করবেন ড্রপবক্স?
প্রযুক্তির এই যুগে ক্লাউডে একটু ‘জায়গা’ থাকা কিন্তু খুবই জরুরি! দরকারি অনেক ডকুমেন্ট আছে যেসবের ব্যাকআপ রেখে দেওয়া ভালো। যেমন ধরুন : আপনার সার্টিফিকেটগুলো, পাসপোর্টের কপি, জমির দলিল কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভালো রেজ্যুলেশনের একটা কপি কিংবা পাসপোর্ট সাইজের একটা ছবি— যা থেকে পরে যে-কোনো সময় প্রিন্ট দিতে পারবেন। কিংবা অফিসের জরুরি কোনো ডক্যুমেন্ট। ধরুন : বাসায় বসে ল্যাপটপে কাজ করেছেন। সেই জরুরি ডক্যুমেন্টটা অফিসে নেওয়া দরকার। কিন্তু ফ্লাশড্রাইভ নেই। সমস্যা নেই! আপলোড করে দিন ক্লাউডে। যেখানে ইন্টারনেট আছে সেখানেই আছে আপনার ওই ফাইলটি! কিংবা ধরুন : আপনি বিদেশ যাচ্ছেন, সব কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে বা সময়-সুযোগ কোনোটাই নেই। সত্যি কথা হচ্ছে, এর দরকারও নেই। মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে কিংবা স্ক্যান করে রেখে দিন ক্লাউডে। পৃথিবীর যেখানেই যান না কেন, থাকছে সেসব আপনার হাতের মুঠোয়! মোবাইলেই অ্যাপের মাধ্যমে সেগুলো আপনি খুব সহজে অ্যাকসেস করতে পারবেন।
অনেকেই মোবাইল ফোনে বা ল্যাপটপে অনেক ডক্যুমেন্ট রাখেন। তবে এসব যন্ত্র হারিয়ে বা চুরি গেলে কিন্তু আপনার ‘সব শেষ’! এছাড়া অনেকসময় অনেকের মোবাইল ফোনের মেমোরিও ফুল হয়ে যায়। তাই সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি হচ্ছে ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা। অবশ্য ক্লাউড ব্যাকআপ অনেকক্ষেত্রেই আবার ব্যয়বহুল। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিনামূল্যে এই সেবাটি দিয়ে থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘ড্রপবক্স‘ ব্যবহার করি। প্রথমে তারা ২ গিগাবাইট স্টোরেজ দেয়। এরপর প্রতি রেফারেলে আপনি পাবেন ৫০০ মেগাবাইট করে। এভাবে ফ্রি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি স্টোরেজ পেতে পারেন ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত। বিজনেস অ্যাকাউন্ট হলে স্টোরেজ পাওয়া যায় ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত, সারা জীবনের জন্য ফ্রি। আমার স্টোরেজ এ পর্যন্ত প্রায় ২০ গিগাবাইট! 🙂
স্টোরেজের জন্য কেউ কেউ অবশ্য ফেসবুক বা মেসেঞ্জার ব্যবহার করে থাকেন, কেউবা আবার ইমেইল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু এসবের প্রত্যেকটারই নেতিবাচক কিছু দিক রয়েছে। যেমন : ফেসবুক বা মেসেঞ্জার ইমেজগুলোকে অপটিমাইজ করে রেজ্যুলেশন কমিয়ে ফেলে। হোয়াটসঅ্যাপ আনইন্সটল করে ফেললে শেষ 🙁 । কেবল ইয়াহু ছাড়া কোনো মেইল সার্ভিসই আনলিমিটেড স্পেস দেয় না। ইয়াহু আনলিমিটেড স্পেস দিলেও বড় ফাইল আপলোডের লিমিট আবার মাত্র ২৫ মেগাবাইট!
কেউ কেউ গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন। এই সার্ভিসটি ভালো হলেও আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের মোট স্পেস থেকে জায়গা খেয়ে ফেলবে। অর্থাৎ আপনার জিমেইলে যদি ৭-৮ জিবি জায়গা ব্যবহার করে থাকে, গুগল ফটোস যদি ৪-৫ জিবি ব্যবহার করে থাকে তাহলে বাকি আর থাকলোই বা কি! এ ছাড়া সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, সেটি হলো গুগল অ্যাকাউন্টের ১৫ জিবি ফুল হয়ে গেলে আপনি কিন্তু আর কোনো ইমেইলও রিসিভ করতে পারবেন না। তাই যদি ওই জিমেইলটি আপনার খুব কাজের হয় তাহলে সেটি আর অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ!
তো এতো কথা বলার মানে হচ্ছে, আপনার যদি একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে, একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে একটা ‘ড্রপবক্স’ অ্যাকাউন্ট থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আর দেরি কেন? এই লিংকে ক্লিক করে এখনই একটা ড্রপবক্সের মালিক হয়ে যান 😉 😉
এরকম অসাধরণ ফিচারস নিয়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ