ফ্লিক্সবাস : বিশ্বের অন্যতম সেরা বাস কোম্পানি
ব্যবসা আছে যেখানে, জার্মানি আছে সেখানে। এইতো মাত্র ১০-১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলো জার্মান বাস-কোম্পানি ‘ফ্লিক্সবুস’। এখন তারা কেবল গোটা ইউরোপেই নয়, ব্যবসা ছড়িয়েছে আমেরিকা, কানাডা আর ব্রাজিলেও।
জার্মানিতে যথাক্রমে তাদের ফ্লিক্সট্রেন, ফ্লিক্সকার নামে ট্রেন আর গাড়ির ব্যবসাও আছে। কবে না জানি শুনবো ফ্লিক্সএয়ার চালু হয়ে গেছে!
গত বছর কোম্পানিটির বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩ বিলিয়ন ডলারে। ২০১১ সালে যাত্রা শুরুর মাত্র ৭ বছরের মাথায় ২০১৮ সালে কোম্পানিটি জার্মানির ইন্টারসিটি বাসের ৯০ শতাংশ মার্কেট দখল করে নেয়। সে বছর তাদের রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারে।
বিশ্বের ৪০টি দেশের ২৫০০ ডেস্টিনেশনে চলে তাদের বাস। ছোটবড় প্রায় চার লাখ শহরকে যুক্ত করেছে তাদের নেটওয়ার্কে। গত বছর এমন বিশ্বমন্দার মধ্যেও আমেরিকান বাস কোম্পানি Greyhound অ্যাকোয়ার করে ফ্লিক্সবাস।
ফ্লিক্সবাসের সদরদপ্তর জার্মানির মিউনিখে। তবে বিভিন্ন দেশের দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক কর্মীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি!
তাই যাঁরা ব্যবসা শাখার শিক্ষার্থী রয়েছেন তাঁরা কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কর্মী হবার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। জার্মানি শুধু প্রকৌশলীদের দেশ নয়, বিজনেস কিংবা আর্টসের শিক্ষার্থীদেরও এখানে ‘সুযোগ’ আছে।
যা-ই হোক, বাসের ভিডিওটি পেলাম এক বড়ভাইয়ের সৌজন্যে। নিউইয়র্ক থেকে তিনি বোস্টন যাচ্ছিলেন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দূরত্বের ভাড়া পড়েছে মাত্র ২১ ডলার।
একসময় আমি ফ্লিক্সবাসের অ্যাফিলিয়েট ছিলাম। ট্রাভেল ব্লগার হিসেবে তাদের নানানভাবে প্রমোট করেছি।