জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট : কোনটা সবচেয়ে ভালো?
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষাসহ নানা প্রয়োজনে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট অবশ্য কর্তব্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু অনেকেই এই ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। কোন্ ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট ভালো, কোনটার দাম কেমন কিংবা কোনটাতে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করতে আজকের এই ব্লগে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। পুরো ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়লে জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে বিশ্বাস করি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে পুরো ব্লগটি পড়ে নিই।
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট : আপনার যা জানা উচিত
পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে আগে জানতে হবে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট বিষয়টা মূলত কী? শুধু তাই না, অনেকেই এই ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টের তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। মূলত ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। জার্মানিতে শিক্ষার্থী হিসেবে আসতে গেলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয় না। দরকার পড়ে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট আসলে কী?
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট হচ্ছে জার্মানিতে ভিসা আবেদনের জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট খোলা যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (মূলত ইউরো😉) ব্লক করতে হয়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হবে, ব্লকড অ্যাকাউন্ট বা ‘Sperrkonto‘ হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যা ভিসাপ্রাপ্তির জন্য জার্মান আইন অনুসারে শিক্ষার্থী কিংবা অন্যান্য কিছু ক্যাটাগরির অভিবাসীর জন্য বাধ্যতামূলক। এটি ছাড়া সাধারণত ভিসা পাওয়া সম্ভব নয়। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য রয়েছে। সে বিষয়ে বিস্তারিত পরে আসছি।
জার্মানিতে যত ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট
জার্মানিতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সেবা দিয়ে থাকে অভিবাসীদের জন্য। অনেকেই এখন প্রশ্ন করবেন সেগুলো কী কী এবং কোনটা সবচেয়ে ভালো হবে? এই অনুচ্ছেদে সেইসব বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো। জার্মানিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলে থাকে অভিবাসীদের জন্য।
জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি প্রতিষ্ঠান যেগুলো ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট ওপেনিং সার্ভিস দিয়ে থাকে সেগুলো হলো—
- Expatrio (এক্সপ্যাট্রিও)
- Fintiba (ফিনটিবা)
- Coracle (কোরাকল)
- Deutsche Bank (ডয়েচে ব্যাংক)
এখানে আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় এসব প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে একটি বিশদ আলোচনা করবো। তবে তার আগে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহ একনজরে দেখে নেবো নিচের তালিকা থেকে। তবে একটি কথা আগেই বলে নেওয়া ভালো। আর তা হলো, জার্মানির কোন্ ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে আপনার চাহিদার ওপর। অবশ্য আমাদের পুরো ব্লগটি পড়লে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচন করা উচিত ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে।
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট : কোনটার কত ফি, সুবিধা কী কী?
Features | Expatrio (এক্সপ্যাট্রিও) | Fintiba (ফিনটিবা) | Coracle (কোরাকল) | Deutsche Bank (ডয়েচে ব্যাংক) |
---|---|---|---|---|
One-time set-up fees | 49€ | 89€ | 99€ | 150€ |
Monthly fees | 5€ (only blocking-period) | 4.90€ (once money enters your account) | Free | 6.90€ |
Required documents | Passport | Passport | Passport | Passport |
Supported language | English, German, Spanish, Portuguese, Vietnamese, Turkish, Urdu, Arabic, Bengali, Korean, Traditional Chinese, Japanese, Simplified Chinese | English, German, Chinese, Korean | English, German, Chinese, Turkish, Urdu, Spanish, Bangla, Korean, Russian, Portuguese | English, German |
Approved by the German Government | ✅ | ✅ | ✅ | ✅ |
Responding time | Less than 24h | 3-5 business days | Less than 24h | No info |
Account opening time | One day | 10 minutes | One day | No info |
German IBAN | ✅ | ✅ | ✅ | ⛔ |
Public health insurance (optional) | Yes, with TK | Yes, with DAK | Free choice, any provider | ⛔ |
Private health insurance (optional) | Yes (Dr. Walter) | Yes (Mawista Student) | Yes (ERV Ergo) | No info |
Available for Minors | ⛔ | ✅ | ✅ | ⛔ |
Travel health insurance | Free for up to 92 days for university students (Dr. Walter) | Include in Fintiba Plus for up to 12 months (Mawista) | Include in Coracle Prime for up to 6 months (ERV Ergo) | ⛔ |
Money-back guarantee if visa rejection | ✅ | ✅ | ✅ | No info |
Extension fees | Monthly 5€ plus 49€ one time | Monthly 4.90€ plus 89€ one time | No monthly fees, 60€ one time | No info |
Mobile apps | ✅ | ✅ | ⛔ | ⛔ |
Support options | Phone, contact form, social media | Email, phone, social media | Email, phone, contact form, social media | No info |
Checking Bank Account Possible | ✅ | ⛔ | ⛔ | No info |
Required documents to activate account while in Germany | ✈ Valid visa document with entry stamp ✈ Proof of German address ✈ German bank details | ✈ Copy/picture of your visa ✈ Your German address ✈ German mobile phone number ✈ German bank details ✈ Depending on your home country, additional documents may ask | ✈ Immigration entry stamp ✈ Proof of German address ✈ German bank details | No info |
English website | ✅ | ✅ | ✅ | ⛔ |
TrustPilot Ratings | 4.6 | 4.5 | 4.9 | No info |
Companies 👉👉 | Know Details | Know Details | Know Details | Know Details |
ওপরে তো আপনারা বিস্তারিত একটি তালিকা দেখে নিলেন প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। এ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর ভালো-মন্দ দিকগুলো পৃথকভাবে নিচে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করি এই আলোচনা থেকে আপিনি খুব সহজেই জানতে ও বুঝতে পারবেন কোন প্রতিষ্ঠান যথাপোযুক্ত হবে আপনার জন্য।
Expatrio (এক্সপ্যাট্রিও)
এক্সপ্যাট্রিও হলো তুলনামূলক একটি নতুন প্রতিষ্ঠান যারা ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট অফার করছে। তিনজন জার্মান উদ্যোক্তা ২০১৭ সালে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ এক্সপ্যাট্রিও শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থীসহ ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশনের ক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেবা ইংরেজির পাশাপাশি চায়নিজ এবং কোরিয়ান ভাষায়ও দিয়ে থাকে। এক্সপ্যাট্রিও’র সেবাপ্রাপ্তি তুলনামূলক সহজ এবং আধুনিক। তাদের ওয়েবসাইটটির ইন্টারফেসও বেশ সুন্দর। বেশকিছু ইউনিক সেবা তাদের প্যাকেজগুলোকে করেছে অন্যদের চেয়ে আলাদা। যেমন : ৯২ দিন পর্যন্ত ইনকামিং ভ্রমণ-বীমা। সেই সঙ্গে থাকছে Techniker Krankenkasse-এর হেল্থ ইন্সুরেন্স সুবিধা এবং এক বছরের জন্য একটি বিনামূল্যে ISIC (International Student Identity Card) স্টুডেন্ট কার্ড প্রাপ্তির সুযোগও৷
এক্সপ্যাট্রিও’র সেট-আপ ফিও খুবই সস্তা, যা এককালীন মাত্র ৪৯ ইউরো। আর মাসিক ফি মাত্র ৫ ইউরো। তাদের ভ্যালু প্যাকেজ নিলে ৪৯ ইউরো আবার ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে ফিরে পাওয়া যায়। এসব দিক বিবেচনা করলে এটি খুবই ভালো একটি ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট কোম্পানি বলে ধরে নেওয়া যায়।
এক্সপ্যাট্রিও’র ইতিবাচক দিকসমূহ :
✅ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়
✅ জার্মান সরকার অর্থাৎ ফেডারেল ফরেন অফিস কর্তৃক অনুমোদিত
✅ জার্মান IBAN-সহ নিজের নামেই ব্লক করা অ্যাকাউন্ট
✅ সেট-আপ ফি মাত্র ৪৯ ইউরো
✅ কোনো কোনো প্যাকেজে ক্যাশব্যাক অফার, অর্থাৎ কোনো সেট-আপ ফি নেই
✅ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি
✅ স্বাস্থ্যবীমা, ইনকামিং ভ্রমণ-বীমা, ISIC-কার্ড ইত্যাদি সুবিধা
✅ একদিনের মধ্যেই গ্রাহক সেবার লিখিত নিশ্চয়তা
✅ ভিসা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে অর্থ ফেরতের গ্যারান্টি
✅ জার্মানিতে থাকাকালীন পেআউটের জন্য বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট চেকিং সুবিধা
✅ ওয়েবসাইটটি ইংরেজি, চীনা এবং কোরিয়ান ভাষায় রয়েছে
✅ কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে সে বিষয়ক বিস্তারিত ভিডিও টিউটোরিয়াল
✅ ইমেল, ফোন এবং কন্টাক্ট ফরমের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা প্রাপ্তির সুযোগ
এক্সপ্যাট্রিও’র নেতিবাচক দিকসমূহ :
⛔️ সরকার নির্ধারিত বাৎসরিক ফি’র (যেমন : ২০২৩ সালের জন্য ১১,২০৮ ইউরো) বেশি টাকা ব্লক করার সুযোগ নেই
⛔️ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না
⛔️ মাসিক ৫ ইউরোর যে ফি আছে তা আপনাকে অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে
Fintiba (ফিনটিবা)
ফিনটিবা হচ্ছে জার্মানিতে ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এটি ২০১৬ সালে জার্মানির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্মী। ফিনটিবা এরই মধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
এদের এককালীন সেট-আপ ফি তুলনামূলক একটু বেশি হলেও বেশকিছু ইউনিক ফিচার তাদেরকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। যেমন : মোবাইল অ্যাপ্স। মোবাইল অ্যাপ্স থাকায় ব্যবহারকারীরা অনেক সেবাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেতে পারেন।
ফিনটিবার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করা যায়। অর্থাৎ কেউ যদি ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশনের মাধ্যমে নিজের বাচ্চাকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে চান তাহলে ফিনটিবার মাধ্যমে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। এ ছাড়াও ফিনটিবার বেশকিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
ফিনটিবা’র ইতিবাচক দিকসমূহ :
✅ জার্মান সরকার অর্থাৎ ফেডারেল ফরেন অফিস কর্তৃক অনুমোদিত
✅ জার্মান IBAN-সহ নিজের নামে ব্লক করা অ্যাকাউন্ট
✅ ১০ মিনিটেরও কম সময়ে অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়
✅ বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ রয়েছে
✅ একদিনের মধ্যে কাস্টমার সার্ভিস থেকে রিপ্লাই
✅ ফোন, ইমেইল ইত্যাদি মাধ্যমে কাস্টমার সার্ভিস প্রাপ্তির সুবিধা
✅ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি
✅ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব
✅ যে-কোনো মাসে অ্যাকাউন্ট বাতিল করা কিংবা মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব
✅ সরকার নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকার (যেমন : ২০২৩ সালে ১১,২০৮ ইউরো) ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব
✅ ওয়েবসাইটটি ইংরেজি, চীনা এবং স্প্যানিশ ভাষায় রয়েছে
✅ কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে সে বিষয়ক ভিডিও টিউটোরিয়াল
ফিনটিবা’র নেতিবাচক দিকসমূহ :
⛔️ সেট-আপ ফি এক্সপ্যাট্রিও’র তুলনায় বেশি, বছরে ৮৯ ইউরো
⛔️ যতদিন ব্লক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকবে ততদিন মাসিক ফি ৪.৯০ ইউরো করে দিতে হবে
⛔️ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করা সম্ভব না
Coracle (কোরাকল)
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোরাকলকে মোটামুটি সবচেয়ে পুরোনো বলে ধরে নেওয়া যায়। ২০১৫ সালে এটি জার্মানির পোর্টসিটি-খ্যাত হামবুর্গে যাত্রা শুরু করে। তারপর থেকে একে একে এই প্রতিষ্ঠানে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের নতুন নতুন প্যাকেজ যুক্ত হতে থাকে। কোরাকল-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এদের মাসিক কোনো ফি নেই। এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব।
সেই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকার ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। যেমন : সরকারি হিসেবে আপনাকে ১২ হাজার ইউরোর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হলো কিন্তু আপনি চাচ্ছেন ১৩ হাজার ইউরোর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে তাহলে আপনি কোরাকল-এর মাধ্যমে তা খুলতে পারবেন খুব সহজেই। এ ছাড়া যে-কোনো মাসে অ্যাকাউন্ট বাতিল করা কিংবা মেয়াদ বাড়ানোও সম্ভব। কোরাকল-এর অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধার মধ্যে রয়েছে…
কোরাকল-এর ইতিবাচক দিকসমূহ :
✅ কোনো মাসিক ফি নেই
✅ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব
✅ জার্মান সরকার অর্থাৎ ফেডারেল ফরেন অফিস অনুমোদিত
✅ ভিসা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে অর্থ ফেরতের গ্যারান্টি
✅ জার্মান IBAN-সহ নিজের নামে ব্লক করা অ্যাকাউন্ট (প্রায় সব দেশের নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য)
✅ বিভিন্ন ভাষায় কাস্টমার সার্ভিস সুবিধা যেমন : ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং রাশিয়ান
✅ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়
✅ বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ রয়েছে
✅ একদিনের মধ্যে কাস্টমার সার্ভিস থেকে রিপ্লাই
✅ ফোন, ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি মাধ্যমে কাস্টমার সার্ভিস প্রাপ্তির সুবিধা
✅ যে-কোনো মাসে অ্যাকাউন্ট বাতিল করা কিংবা মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব
✅ সরকার নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকার (যেমন : ২০২৩ সালে ১১,২০৮ ইউরো) ব্লক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব
✅ যে-কোনো মাসে অ্যাকাউন্ট বাতিল করা কিংবা মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব
✅ ব্লক অ্যাকাউন্ট বর্ধিত করার ফি মাত্র ৬০ ইউরো
কোরাকল-এর নেতিবাচক দিকসমূহ :
⛔️ সেট-আপ ফি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি, বছরে ৯৯ ইউরো
⛔️ প্রাইম ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট এবং স্বাস্থ্যবীমার প্যাকেজ শুধুমাত্র স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য
বার্লিনের কিছু সস্তা ফ্লাইট
Deutsche Bank (ডয়েচে ব্যাংক)
প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক বড় হলেও ডয়েচে ব্যাংক (Deutsche Bank) সেই অর্থে ভালো সার্ভিস দিতে পারছে না ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে। বহুজাতিক এই কোম্পানিটি জার্মানির অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হলেও ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্যগুলো খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ডয়েচে ব্যাংক যেন অনেকটা আমাদের দেশের সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ইত্যাদি ব্যাংকের মতো। সেই অর্থে আধুনিকায়ন করা হয় নি সেবার ফিচারগুলো।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিবেচনা করলে ডয়েচে ব্যাংকের অবস্থান হবে সবার নিচে। কারণ একদিকে সেট-আপ ফিও বেশি অন্যদিকে মাসিক চার্জও বেশি। তাদের সেট-আপ ফি ১৫০ ইউরো, যেটি আসলেই অনেক বেশি। আজকের বাজারদর অনুযায়ী বাংলা টাকায় তা দাঁড়ায় প্রায় ১৮ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রতিমাসে রয়েছে ৬.৯০ ইউরো বা ৮০০ টাকার চার্জ।
এইসব দিক বিবেচনা করলে ডয়েচে ব্যাংক আসলেই নিচের সারিতে থাকছে। সত্যিকার অর্থে তাদের বিশেষ কোনো ইতিচবাচক দিক নেই যা উল্লেখ করার মতো। অন্তত আমি খুঁজে পাই নি। তারপরও নিচে টুকটাক দু-তিনটা তুলে ধরা হলো…
ডয়েচে ব্যাংক-এর ইতিবাচক দিকসমূহ :
✅ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই কেবল পাসপোর্ট দিয়ে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব
✅ জার্মান সরকার অর্থাৎ ফেডারেল ফরেন অফিস দ্বারা অনুমোদিত
✅ বেশ নামকরা, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রাচীনতম, ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত
ডয়েচে ব্যাংক-এর নেতিবাচক দিকসমূহ :
⛔️ সেট-আপ ফি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি, বছরে ১৫০ ইউরো
⛔️ যতদিন ব্লক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকবে ততদিন মাসিক ফি ৬.৯০ ইউরো করে দিতে হবে
⛔️ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবীমা প্যাকেজ অফার করে না
⛔️ এখনও অনেকটাই অ্যানালগ পদ্ধতির অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস
⛔️ সেবা সম্পর্কিত খুব বেশি তথ্য-উপাত্ত নেই
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট কী?
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট হল একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট যেখানে ভিসা আবেদনকারীকে তাদের পড়াশোনার (কোনো কোনো সময় অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্লক্ড করতে হয়। যেমন : স্পাউস ভিসা বা ফ্যামিলি রিইউনিয়নের জন্য) প্রথম বছর-জুড়ে নিজেদের অর্থায়নের উপায় আছে তা প্রমাণ করতে হয় টাকা জমাদানের মাধ্যমে।
জার্মানির সেরা ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠান কোনটি?
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন : এক্সপ্যাট্রিও, ফিনটিবা, কোরাকল, ডয়েচে ব্যাংক ইত্যাদি। আপনি ওপরের তুলনামূলক চিত্র বিবেচনা করে যে-কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। খুব বেশি পার্থক্য আসলে নেই। যে-কোনো একটি নির্বাচন করলেই হলো।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা কি বাধ্যতামূলক?
অনেকক্ষেত্রেই ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন কিংবা শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার স্পাউস অর্থাৎ স্ত্রী বা স্বামীকে জার্মানিতে নিতে চান তাহলে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এমনকি শিশু-সন্তানকে জার্মানি আনতে হলেও এই বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট কি শুধুমাত্র প্রথম বছরে লাগে নাকি পরবর্তীতে আবারও করা লাগে?
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সাধারণত প্রতিবছরই করার নিয়ম। তবে জার্মানির শহরভেদে বিষয়টি নির্ভর করে। ধরুন আপনি মাস্টার্স করতে জার্মানি আসলেন এবং সেটি দু বছরের। কোনো কোনো শহরে ভিসাই দিয়ে দেয় দু-তিন বছরের জন্য। যেমন : বার্লিনে সাধারণত ভিসা দিয়ে দেয় তিন বছরের জন্য। সেই ক্ষেত্রে তো নতুন করে আর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করা লাগছে না। কিন্তু যদি তিন বছরেও ধরুন কোর্স শেষ হলো না। আর অল্প একটু বাকি আছে, ধরুন দু-তিন মাস বা ছয় মাস। সেই ক্ষেত্রে ভিসা কৃর্তপক্ষ বলতে পারে সমপরিমাণ টাকা ব্যাংকে দেখাতে। তার মানে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট আর লাগছে না। এমনটা হতে পারে এক বছরের ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও। দ্বিতীয় বছরের সমপরিমাণ টাকা আপনার ব্যাংকে আছে কি-না অনেকসময় তা দেখালেই চলে। কারও কারও ক্ষেত্রে জবের কন্ট্রাক্ট দেখালেও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির নজির রয়েছে। তবে প্রথম বছরের পরও ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট লাগতে পারে তেমনটা মাথায় রাখাই নিরাপদ।
কীভাবে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়?
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা কঠিন কোনো কাজ নয়। আপনি যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টটি খুলতে চান তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ গাইড ফলো করলেই হয়ে যাবে। সেখানে প্রথমে সব তথ্যাবলি দিয়ে আপনাকে একটি ইউজার-অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরির পর আপনি অর্থ স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাঙ্কের বিবরণ অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবেন। আপনার পাঠানো তহবিল আপনার ব্লক্ড অ্যাকাউন্টে পৌঁছুলে আপনি আপনার ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের মেইল পাবেন।
আমি কি ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবো?
উত্তর হচ্ছে, না! ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি সরাসরি টাকা তুলতে পারবেন না। ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের টাকা আপনি জার্মানি আসার পর আপনার চলতি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে পাবেন। সেই টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যাবে। আপনি যে হারে টাকা ব্লক্ড করেছিলেন ঠিক সেই হারেই মাসে মাসে ফেরত পাবেন।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট ছাড়া জার্মানিতে যেভাবে আসা যায়
অনেকেই অনেকসময় জানতে চান ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়া জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যায় কি-না। এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সাধারণত ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খুলতেই হয়। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে কেউ যদি সম্পূর্ণ স্কলারশিপ পায় কিংবা কারও যদি নিকটাত্মীয় অথবা যে-কেউ সমপরিমাণ টাকা দিয়ে ব্লক অ্যাকাউন্ট করে দেয় কিংবা যে পরিমাণ টাকা দিয়ে ব্লক অ্যাকাউন্ট করতে হয় সেই পরিমাণ টাকা অর্থাৎ থাকা-খাওয়াসহ হেলথ ইন্সুরেন্স ইত্যাদির ব্যবস্থা করে তাহলে আর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট লাগে না।
এই বিষয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত ব্লগ পোস্ট রয়েছে। সেটি পড়ে দেখলে আরও তথ্য পাবেন, মানে কীভাবে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট ছাড়াও জার্মানি আসা সম্ভব তা জানতে পারবেন।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট ছাড়াও জার্মানি কীভাবে আসা যায় তা জানুন
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের পরিমাণ বর্তমানে কত?
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের বিষয়টি প্রতিবছরই আপডেট হয়। জীবনধারণের খরচের সঙ্গে মিল রেখে সেই অঙ্ক নির্ধারণ করে জার্মান সরকার। একটা সময় ছিলো যখন প্রায় ৮ হাজার ইউরোর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করেই জার্মানি আসা যেতো। কিন্তু সেই পরিমাণ এখন বেড়ে গেছে প্রায় তিন হাজার ইউরো। ২০২৩ সালের জন্য ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ১১ হাজার ২০৮ ইউরো। অর্থাৎ প্রতিমাসের জন্য ৯৩৪ ইউরো। তার মানে হচ্ছে, আপনাকে এই পরিমাণ টাকা একবছরের জন্য ব্লক করতে হবে জার্মানিতে।
ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের প্রসেসটা কী? কী কী ডকুমেন্ট লাগে?
ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের আসলে দুইটা অংশ। এক. দেশের অংশ এবং দুই. জার্মান অংশ। আমরা এতক্ষণ জার্মান অংশ নিয়ে মূলত কথা বলেছি। তো চলুন এবার দেশের অংশটুকু জেনে নিই। প্রথমেই আপনার ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে তারা স্টুডেন্ট ফাইল প্রসেস করে কি-না। যদি করে তাহলে আপনার কাজ হচ্ছে তারা যেসব ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যেতে বলবে তা নিয়ে যাওয়া। ব্যাংক মোটামুটি যেসব ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো—
- জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার
- ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের ক্ষেত্রে তাদের অফার লেটার
- অ্যাকাডেমিক সকল সার্টিফিকেট
- অ্যাকাডেমিক সকল মার্কশিট
- IELTS, GRE, GMAT ইত্যাদির সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- পাসপোর্ট করা থাকলে পাসপোর্টের কপি (ব্যাকআপ হিসেবে)
- সব কাগজের একাধিক সেট ফটোকপি
- সঙ্গে অরিজিনাল সব কাগজপত্র
- অ্যাকাডেমিক-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (যদি থাকে)
ফ্রাঙ্কফুর্টের কিছু সস্তা ফ্লাইট
কোন্ কোন্ ব্যাংক স্টুডেন্ট ফাইল খোলা যায়?
যেমনটা আগেই বললাম, ব্লকের টাকাটা জার্মানিতে পাঠাতে হলে আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মূলত যে ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে চান সেই ব্যাংকে আগে থেকে আপনার বা আপনার অভিভাবকের একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আর তা না থাকলে নতুন করে খুলে নিতে হবে। অ্যাকাউন্টটি জয়েন্ট, কারেন্ট, সেভিংস বা যে-কোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট হলেই চলবে। মোটকথা সেই অ্যাকাউন্ট থেকে জার্মানিতে টাকা পাঠানো গেলেই হলো। জার্মানিসহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকই স্টুডেন্ট ফাইল প্রসেস করে থাকে। তারপরও দেশে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে তারা স্টুডেন্ট ফাইল প্রসেস করে কি-না। যে সব ব্যাংকই ইদানীং স্টুডেন্ট ফাইল প্রসেস করে থাকে সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে—
- AB Bank Ltd
- Agrani Bank Ltd
- City Bank Ltd
- Commercial Bank of Ceylon
- Dutch-Bangla Bank Ltd
- Eastern Bank Ltd
- IFIC Bank
- Jamuna Bank
- Rupali Bank Ltd
- Sonali Bank Ltd
- Standard Chartered Bank
- Standard Chartered Bangladesh Ltd
- Trust Bank Ltd
- UCBL
দেশে খরচ কত হয়?
জার্মানিতে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করতে কত খরচ হয় তা তো জেনেই গেলেন। এখন চলুন জেনে নিই দেশের ব্যাংকে আপনার কত খরচ হতে পারে। আমরা ঘাঁটাঘাঁটি করে যা জানলাম তা হলো, বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল প্রসেস করতে মোটামুটি এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। যেমন : সোনালী ব্যাংক ওপেনিং চার্জ নেয় ৩ হাজার ৪৫০ টাকা, সঙ্গে রয়েছে সুইফ্ট চার্জও। কোনো কোনো ব্যাংক আবার ফ্রিতেও করে থাকে। তাই প্রথমেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।
শেষকথা
উপরের দীর্ঘ আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন জার্মানির জন্য কোন্ ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত হবে। মূলত একটির সঙ্গে আরেকটির খুব বেশি পার্থক্য নেই। এক্সপ্যাট্রিও, ফিনটিবা কিংবা কোরাকল-এর মধ্যে যে-কোনো একটার সুবিধা নিলেই হলো।
আজকের ব্লগ পড়ার মাধ্যমে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সব ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর হবে বলে বিশ্বাস করি। আর এই তথ্যগুলো কাজের মনে হলে পোস্টটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন কিংবা সেভ করে রাখতে পারেন কোথাও। অথবা শেয়ার করে রাখতে পারেন নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনেও। সেই সেঙ্গ যাঁরা জার্মানিতে যেতে চায় আপনার তেমন আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!
Blocked account কি শুধুমাত্র প্রথম বছরে লাগে নাকি পরবর্তীতে আবার ব্লকড করা লাগে?? বেলজিয়ামে যেমনটা লাগে। ্
ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট সাধারণত প্রতিবছরই করার নিয়ম। তবে জার্মানির শহরভেদে বিষয়টি নির্ভর করে। ধরুন আপনি মাস্টার্স করতে জার্মানি আসলেন এবং সেটি দু বছরের। কোনো কোনো শহরে ভিসাই দিয়ে দেয় দু-তিন বছরের জন্য। যেমন : বার্লিনে সাধারণত ভিসা দিয়ে দেয় তিন বছরের জন্য। সেই ক্ষেত্রে তো নতুন করে আর ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট করা লাগছে না। কিন্তু যদি তিন বছরেও ধরুন কোর্স শেষ হলো না। আর অল্প একটু বাকি আছে, ধরুন দু-তিন মাস বা ছয় মাস। সেই ক্ষেত্রে ভিসা কৃর্তপক্ষ বলতে পারে সমপরিমাণ টাকা ব্যাংকে দেখাতে। তার মানে ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট আর লাগছে না। এমনটা হতে পারে এক বছরের ব্লক্ড অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও। দ্বিতীয় বছরের সমপরিমাণ টাকা আপনার ব্যাংকে আছে কি-না অনেকসময় তা দেখালেই চলে। কারও কারও ক্ষেত্রে জবের কন্ট্রাক্ট দেখালেও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির নজির রয়েছে। তবে প্রথম বছরের পরও ব্লক্ড অ্যাকাউন্ট লাগতে পারে তেমনটা মাথায় রাখাই নিরাপদ।
আউসবিল্ডু করতে গেলে ব্লক অ্যাকাউন্ট করতে হবে?
♥️♥️♥️♥️♥️
thank u vai
Pingback: জার্মানিতে অপরচুনিটি কার্ড ভিসার আদ্যোপান্ত
জব অপোরচুনিটি ভিসার জন্য ব্লক একাউন্টে টাকা পাঠানোর পর ভিসা রিজেক্ট হলে জমাক্রিত টাকা কত দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য এবং কোন প্রসেস এর মাধ্যমে করতে হবে একটু ডিটেইলস এ জানাবেন।ধন্যবাদ