সবাই KISS চায়! একটা KISS দিন!!
প্রায় ২০ বছর আগের কথা। চট্টগ্রামের জামালখান এলাকার একটা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিই। ঘোষণা দিলাম, পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু পোলাপান বাদ সাধলো। বললো, স্যার, অ্যাসাইনমেন্ট দিতে চাই, পরীক্ষা না।
আমি বললাম, তা সম্ভব, কিন্তু শর্ত আছে। আমাকে ‘কিস’ দিতে হবে! সবাই কয়েক সেকেন্ড চুপ। মুচকি মুচকি হাসে আর একে অন্যের দিকে তাকায়। সম্ভবত তমাল নামে এক দুষ্টু ছেলে বলেই ওঠলো, ‘স্যার খি বলেন যে এঠা! এইটা ক্যামনে সম্বব!?’
আমি বললাম, সম্ভব! হোয়াইট বোর্ডে লিখলাম, শর্ত একটাই… KISS 😘 দিতে রাজি থাকলে বলো। নইলে পরীক্ষা…
তরুণ ছেলেপেলের মনে প্রজাপতি পাখা মেলছে… যে যাকে পছন্দ করতো, পরস্পরের দিকে তাকিয়ে অবাক হাসি হাসছে… বলে রাখা ভালো, সায়মা নামে এক মেয়ের পাণিপ্রত্যাশী ছিলো অন্তত পাঁচজন। শিক্ষক হলেও আমি ছিলাম তাদের বন্ধুর মতো, অনেকেই ব্যক্তিগত বিষয়আশয় শেয়ার করতো আমার কাছে। দেখি, ওই পঞ্চপাণ্ডবের পাঁচজোড়া চোখ সায়মার দিকে…
বললাম, ওইদিকে না, হোয়াইটবোর্ডের দিকে প্লিজ…
লিখলাম… KISS = Keep It Short & Simple. এটা দেখার পর যেন একটু সংবিত ফিরে পেলো তারা।
পরে ব্যাখ্যা দিলাম বিষয়টার। বুঝালাম কেন এটার দরকার।
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি : মানুষের সময় এখন কম। শিক্ষকরাও ভিনগ্রহের প্রাণি নন। আপনার কন্টেন্ট যে দেখবে কিংবা পড়বে তাঁর কথাও মাথায় রাখতে হবে। তাঁর সময়ের দাম কোনোঅংশেই আপনার চেয়ে কম না। যদিও বাস্তবজীবনে এটা খুব কঠিন কাজ। আমি নিজেও অনেকসময় পারি না। কিন্তু কোনোকিছু অল্পকথায় সহজে বুঝিয়ে বলতে পারাতেই মুন্সিয়ানা… সেখানেই অনেকাংশে নির্ভর করে সাফল্য। এইযুগে সবাই KISS চায়। সবাইকে KISS দিন! 😊😊